ফারুয়া ইউনিয়নের ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই ইউনিয়নের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনেভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই ইউনিয়নকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য, মিয়ানমার ও রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার অন্যান্য উপজেলা ও ইউনিয়নসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলা থেকে একটু ভিন্নতবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনিঅনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। ইউনিয়নের আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত চাকমা ভাষারসাযুজ্য রয়েছে। সাজেক ভ্যালীর পাদদেশে ফারুয়া ইউনিয়নের মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপকপ্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। ফারুয়া ইউনিয়নে বাঙ্গালীর পাশাপাশি প্রায় ৯ টি উপজাতি বসবাস করে। এখানে প্রত্যেকটি উপজাতি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে।
উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলি যথাক্রকে (১) চাকমা (২) তঞ্চঙ্গ্যা (৩) মারমা (৪) বোম (৫) পাংখুয়া (৬) লুসাই (৭) রাখাইন (৮) ত্রিপুরা এবং (৯) খিয়াং।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS